| |
               

মূল পাতা রাজনীতি অন্যান্য দেশে একটা শ্বাসরুদ্ধকর পরিবেশ বিরাজ করছে : ন্যাপ মহাসচিব


দেশে একটা শ্বাসরুদ্ধকর পরিবেশ বিরাজ করছে : ন্যাপ মহাসচিব


রহমত নিউজ ডেস্ক     19 December, 2022     05:47 PM    


বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, বিজয়ের ৫১ বছরে বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ক্রমান্বয়ে দুর্বল হচ্ছে। দুর্বল হলেই যে আমাদের হতাশ হতে হবে, তা নয়। বহুবার দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা আরও দুর্বল হয়েছে, কিন্তু জনগণের মধ্যে যে গণতান্ত্রিক চেতনা আছে, তা বারবার জেগে উঠেছে। জনগনই আমাদের গণতন্ত্রের পথে নিয়ে যাবে।

আজ (১৯ ডিসেম্বর) সোমবার দিনাজপুরের কালিতলা মোড়ে দলীয় কার্যালয়ে বাংলাদেশ ন্যাপ আয়োজিত মতবিনিময় সভায়  প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।  বাংলাদেশ ন্যাপ দিনাজপুর জেলা আহ্বায়ক মো. মঞ্জুরুল আলমের সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশগ্রহন করেন জেলা যুগ্ম আহ্বায়ক মো. আবু তাহের, আজহার আলী, আবদুর রহিম, মো. দুলাল হোসেন দুলু, সদস্য সচিব মো. রেজাউল আলম পুতুল, সদস্য জাহাঙ্গীর আলম, মো. আরমান আলী প্রমুখ। সভা শেষে বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভুইয়া মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীর সহযোদ্ধা কৃষক নেতা হাজী মুহাম্মদ দানেশের কবর জিয়ারত করেন।

ন্যাপ মহাসচিব বলেন,  গত ৫১ বছরে বাঙালি জাতির অনেক বড় প্রাপ্তি ঘটেছে। সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি হলো আমাদের স্বাধীনতা। একটা স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বে স্থান করে নিয়েছে। বাংলাদেশের মানুষ স্বাধীন দেশে বাস করবে, খেয়ে-পরে জীবন যাপন করবে মুক্তিযেদ্ধের ও বিজয়ের আকাংখা শুধু এটাই ছিল না। আশা করিনি। আকাংখা ছিল একটি দুর্নীতিমুক্ত গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের। জনগণের ইচ্ছা অনুসারে দেশ শাসিত হবে। কিন্তু, শাসকগোষ্টির ব্যর্থতা ও দুর্নীতিবাজদের কারণে বার বার গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা ব্যাহত হয়েছে। 

তিনি আরো বলেন, বিজয়ের ৫১বছরে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার অবক্ষয়ের সঙ্গে সঙ্গে এ দেশে সুশাসনের ঘাটতি ঘটেছে। সুশাসনের ঘাটতির ফলে মানবাধিকার ক্ষুন্ন হচ্ছে, মানুষের অধিকারগুলো প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে না। শাসকগোষ্টি ও রাজনীতিবিদদের মনে রাখতে হবে, শুধু সামরিক শাসন এড়ালেই চলবে না, সেই সঙ্গে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকেও শক্তিশালী করতে হবে। তানা হলে দুর্নীতি প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে না। আর দুর্নীতি প্রতিরোধ করতে না পারলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে না।  

অযত্নে অবহেলায় পড়ে থাকা কবর পরিদর্শন করে ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, জাতি তার পূর্ব পুরুষকে যথাযথ সম্মান দিতে পারছে না। যা ক্ষমার অযোগ্য।